হলুদ একটি প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান, যা শুধু রান্নায় নয়, সৌন্দর্যচর্চাতেও যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে ব্রণ এবং তার দাগ দূর করতে হলুদ খুবই কার্যকর। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।
![]() |
হলুদ যেভাবে ব্রণের দাগ দূর করে |
ব্রণ চলে যাওয়ার পর মুখে যে দাগ থেকে যায়, তা দূর করতে নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে। এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের ওপর লাগাতে হবে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিলে প্যাক শুকিয়ে যাবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে দাগ হালকা হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
হলুদ বিভিন্ন উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। যেমন—হলুদ ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ কমার পাশাপাশি ত্বক হয় কোমল। আবার হলুদ ও লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে কালচে দাগ দ্রুত হালকা হয়। তবে সংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার না করাই ভালো। এছাড়া হলুদ ও অ্যালোভেরার মিশ্রণ ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে এবং প্রদাহ কমিয়ে দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখতে হবে, প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে দাগ দূর করতে সময় লাগে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে ব্রণের দাগ কমে যাবে এবং ত্বক হবে পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত।
হলুদের উপকারিতা
১. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ – হলুদে থাকা উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ – ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনর্গঠনে সহায়তা করে।
৩. ত্বক ফর্সাকারী প্রভাব – ত্বকের কালো দাগ হালকা করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ব্যবহারের নিয়ম
-
এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
-
পেস্টটি ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে দিন।
-
শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অন্যান্য মিশ্রণ
-
হলুদ ও মধু: দাগ কমায় ও ত্বক মসৃণ রাখে।
-
হলুদ ও লেবুর রস: কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে (তবে সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহার করবেন না)।
-
হলুদ ও অ্যালোভেরা: ত্বক ঠাণ্ডা রাখে ও দাগ হালকা করে।
নিয়মিত ব্যবহার করলে হলুদ ত্বকের ব্রণের দাগ ধীরে ধীরে কমিয়ে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত।